ইতিহাস কি ? ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা

 ইতিহাস কি ? ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা 

ইতিহাস কি  ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা

ইতিহাস হল আমাদের দেশের সকল ধরনের ইতিহাস মূলক কথা গল্প ও হাজার বছর আগের কিছু সরনিয় কাহিনী তুলে ধরা রয়েছে। 

মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য-নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। এ কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে । ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুমান করতে সাহায্য করে। 

ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজদেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি ।

জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে : 


অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ-জাতির সফল সংগ্রাম ও গৌরবময় ঐতিহ্যের, তাহলে তা মানুষকে

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই ।

সচেতনতা বৃদ্ধি করে:


ইতিহাস – জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে। উত্থান-পতন এবং সভ্যতার বিকাশ

ও পতনের কারণগুলো জানতে পারলে মানুষ ভালো-মন্দের পার্থক্যটা সহজেই বুঝতে পারে। ফলে সে তার কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকে ।

দৃষ্টান্তের সাহায্যে শিক্ষা দেয় :


ইতিহাসের ব্যবহারিক গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে । ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাসকে বলা হয় শিক্ষণীয় দর্পন ।

ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা 

ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অনেক । ইতিহাস আমাদের বিভিন্ন সরনীয় ঘটনা জানতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা মানব সমাজের শুরু থেকে তারা যাবতীয় কর্মকাণ্ড, চিন্তা-চেতনা, ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি। কেননা ইতিহাসের প্রথম উপজীব্য বিষয় হলো, মানব সমাজের অগ্রগতির ধারা বর্ণনা করা। সভ্যতার প্রধান স্তর, সভ্যতার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের কথা সম্পর্কে ইতিহাম থেকে জানা যায়।

ইতিহাস আমাদের অতীত সম্পর্কে জ্ঞানদান করে। ইতিহাসের আলোকে আমরা বর্তমানকে বিচার করতে পারি। ইতিহাস পাঠ জাতীয় চেতনা উন্মেষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।একটি জতির ঐতিহ্য ও অতীতের গৌরবান্বিত ইতিহাস ঐ জাতিকে বর্তমানের মর্যাদাপূর্ণ কর্মতৎপরতায় উদ্দীপিত করতে পারে।জাতীয় পরিচয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে যা দেশ ও সমাজের উন্নতি তথা দেশপ্রেমের জন্য একান্ত অপরিহার্য়।
ইতিহাস রচনা ও ইতিহাস চর্চা সম্পর্কে বিভন্ন দৃষ্ঠিভঙ্গি থাকতে পারে, কিন্তু ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোন দ্বিমত নেই। রাষ্টনায়ক, রাজনীতিবিদ. বুদ্ধিজীবী, সামরিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য ইতিহাস খুবই মূল্যবান বিষয়। ঐতিহাসিক ঘটনার সঠিক আলোচনার জন্য বর্তমানে বিভন্ন জ্ঞানের শাখার সাহায্য গ্রহণ করতে হয়। ফলে ইতিহাস হয়ে ওঠে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ।

Tags: ইতিহাস,ইতিহাস কি,ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা কি,ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা,ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা,ইতিহাস পাঠের মূল উদ্দেশ্য কি,ইতিহাস পরিচিতি,গীতা পাঠের প্রয়োজনীয়তা,ইতিহাস কাকে বলে,ইতিহাস পাঠের মূল উদ্দেশ্য,ভারতের ইতিহাস কি কাকে বলে,ইতিহাস কি ও কাকে বলে,ইতিহাস কে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি,ইতিহাস পাঠ করা কেন প্রয়োজন?,ইতিহাসের উপাদান কি,মুদ্রা কি ভাবে ইতিহাস জানায়,ইতিহাস কেন জানা প্রয়োজন,সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা,ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা

https://www.incometips.xyz/feeds/posts/default