Bangla Tecnology

কাকতাড়ুয়া গল্পের রচিয়তা হলেন সেলিনা হোসেন এবং এই কবিতাটি নিয়ে যা বললেন তার একটি পরিশুদ্ধ কবি সেলিনা হোসেন

 রাত পোহালে দিনের আলো সুজি ডুবলে আধার ওর কাছে দুটোর সময় হাটে মাঠে ঘুরে বেড়ায় ঘুরতে ঘুরতে যে কোথায় যায় সে হিসেবে রাখে না ওর কাছে পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ সবসময় মনে করে যেদিকে চোখ যায় সেদিকে।

ওর জন্য রাস্তা খোলা ও হেসে বলে এসেছি আমাকে কান্না মাঠ-ঘাট দেখে ও মনের আনন্দে পথের ধুলো মাখা কিসের আনন্দ কিসে কান্না কেউ বলতে পারে না ও বোঝে অনেক সবার মাথার উপর দিয়ে ওর দৃষ্টি ছুঁয়ে যায় তাকে বলে দেখো আমাকে।

 সবাই ওকে দেখে ওকে দেখার কারণে এই দিনযাপনে ওর কোন কষ্ট নেই ঘুমোবার জায়গা তো নেই কি হয়েছে দোকান এর বারান্দা আছে গাছ তলা ঘাটে নৌকা আছে নৌকা ভেতর দিব্যি ঘুমিয়ে থাকা যায় আর সে সব কিছু না পেলে বাড়ির কাছে বারান্দা আছে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে থাকে পাঁচটার সময় টের পায়নি কুকুরের উবে ওর পাশে শুয়ে আছে ওকে আলতো করে চেটে দেয় ভালো লাগে।

আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় এমন রাত কাটে ও রাত নিয়ে ওর কোন ঝামেলা নেই শব্দ নেই তো কি হয়েছে ফুল্পাখ্রু আর মুড়ি ভাজা আছে চায়ের দোকানে কাজ করে দিলে চার্জ কতটুকু খাবার করে দিতে পারে তাছাড়া কখনো কখনো ছোটখাট কাজের ডাক পড়ে তখন অড়হড় ডাল এর সঙ্গে ভাত জোটে নইলে কেউ কারো বাড়িতে চালের আটার রুটির সঙ্গে একটুখানি পাওয়া যায়।

বিয়ে বাড়ি মাংস প্রাইভেট পড়ে ওর দিন চলে যায়সব বেলার ভাত নেই তো কি হয়েছে পুকুর পাড় আছি নদীর পানির দোকানে কাজ করে রাত করা খাবার করে দিতে পারে তাছাড়া কখনও কখনও বাড়িতে ছোটখাট কাজের তখন ডালের সঙ্গে ভাত জোটে নয় কারো বাড়িতে চালের আটার রুটির সঙ্গে একটু খানি জল পাওয়া যায় বিয়ে বাড়ি হলে ভাত মাংস পেটপুরে ওর দিন চলে যায়।

এসব নিয়ে ওর কোন মন খারাপ নেই ও ভয় পায় না ভয় করে না আসলে কি তা জানেনা ছোটবেলার গল্প শুনে নেই কেউকে জুজুর ভয় দেখায়নি বড় হয়েছে যে ছেলে নিজেকে নিয়ম বড় হয় এর সঙ্গে মুছে ফেলতে হয় না কেউ যদি জিজ্ঞেস করে করে সেটা কি হাত বাড়ায় প্রশ্নের জবাবও কাউকে দেয় না ঘরের চারদিকের ঘরে থাকে এটা কি বলে দিতে হবে মাঝে মাঝে লোকজন এসব বেকার মত প্রশ্ন করে দেখে হাসতে হাসতে মরে নাইরে করতে পথে হাঁটে গান গাই গান বুক উজাড় করে দেয়।

 গান ওর ভীষণ প্রিয় গান শুনে গান দেখে একবার শুনলে গাইতে ওর মনে হয় যার ভেতরে গান সে অনেক কিছু পারে সে একটা ভালো মানুষ এসব ভাবতে ভাবতেওর পথের ধারে বসে পড়ে ওর পায়ের কাছে শামুকের খোলা পরে থাকে ও বুড়ো আঙুলের মাথায় সেটা তুলে নিয়ে নাচাতে থাকে নাচাতে নাচাতে ঘাসের উপর শুয়ে পরে ওর পা উঠে থাকি আকাশের দিকে ও হাত দিয়ে রোদ আড়াল করে ভাবে।

এমন মজার খেলা বুঝে নিয়ে আর হয়না ও হাতের ফাক দিয়ে দেখতে পায় শামুকের খোলা মানুষের মাথায় একটি অন্যরকম টুপি মানুষটা বুঝি যুদ্ধ করার জন্য তৈরি হয়েছে ছেলেটা এমন ভাবনা নিজের চারপাশ ভরিয়ে দিল ওর দিন এভাবে চলে কারো খেতে কামলা খাটে কারো গরু চরায় কারো মন জলে নৌকা মাস ধরে মুদির দোকানে বসে কেনাবেচা করে চায়ের দোকানে চা বানায় সামনে চায়ের কাপ নিয়ে যায়।

ধানক্ষেতে নিরক্ষীয় পাগল হয়ে গেছে শক্ত হয়ে যাওয়াকে বলে জীবনটা তো আর স্বাভাবিক নিয়মে চলে না চলার উপায় থাকেনা খুবলে খায় কোন প্রকার শব্দ জেগে ওঠে একটি ভয়াবহ কুটিল রাত কিরকম ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল সেই রাতে নিস্তব্ধ গ্রাম মাঝে মাঝে ভেসে যায় কুকুরের কান্না মনে হয় কেউ যেন শব্দ দিয়ে যাচ্ছে।

 সেই শব্দের বুকে চারপাশহঠাৎ করে কোন বাড়িতে কান্নার রোল উঠলে ওর মনে হয় আকাশ ফুটে হয়ে একটা কঠিন বজ্রপাত ঘটছে একের পর এক ঘরের ভেতর ওর বাবার শরীর মুচড়াতে থাকে মোচড়াতে মোচড়াতে স্থির হয়ে যায় চোখের মনি হওয়ার একটি মাত্র ফুরিয়ে আসছে তেল ঘরে কেরোসিন নিজেকে আরেকটু তেল দেওয়া যাবে।

 কিংবা কবিতায় তেল দিতে হবে পাশের ঘরে চাচির কাছে গিয়ে তেল নিয়ে আনতে হবে এমন কিছু চিন্তাও করতে পারেনি তখন তো এইসব ভাবনার সময় ছিল না দেখতে পায় এক পাশে পড়ে আছে মা তার বুকে ছোট 33 বছর রোগীর মতো শরীর বোঝা যাচ্ছে না বেঁচে আছে কিনা তিনি গায়ে হাত দিয়ে শিউরে ওঠে বাড়ি বাড়িতে আসো ওকে বুকে নিয়ে উঠোনে নেমে যেতাম পাড়ানি গান গা।

ওর কাঁধে মাথা রেখে ফুলে ওঠার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয় ছেলেটি বুক খালি হয়ে যায় দেখতেপায় ঘরের অন্য মেঝেতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা অথচ জীবনের আকাশ-পাতাল করার সময় অর্পিতা জীবন কত স্মৃতি ওর সঙ্গে এত কিছু বলবে কি করে সেই ভিন্ন আর নেই বিনতা চোখ বুঝে গেছে আর কখনো ওই চোখ খুলবে না।

অপূর্ব শীল্ড চোখ যেন পুরো একটা বিল ঢুকে আছে ওর চোখে হাসলে মনে হত ভিলেজ অল্ড হয়ে যাচ্ছে ওর সামনে পুরো বাড়িটা স্তব্ধ হয়ে গেছে একসময় রাত পোহায় সকাল হতে ঠাণ্ডা হাত দিয়ে দেখ এসব জমে শক্ত হয়ে গেছে উপজেলায় জমি শক্ত হওয়ার মানে মৃত্যু কাঁদতে পারেনা নিজেকে ছাড়াতে পারে অনুভব করতে থাকে ওর পায়ের নিচে শক্ত হয়ে যেতে শুরু করেছে সে ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে থাকে।

https://www.incometips.xyz/feeds/posts/default
Back to top button