১৫ আগাস্ট উপলক্ষে বক্তব্য রচনা | শোক দিবসের ভাষণ ২০২২

 ১৫ আগাস্ট উপলক্ষে বক্তব্য রচনা | শোক দিবসের ভাষণ ২০২২ 

আজ ১৫ আগাস্ট ২০২২ বাঙালীর শোক দিবস | শোক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রচনা কবিতা ফটো ভিডিও

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। যার পরবর্তীতে বাংলাদেশে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়। 

প্রত্যেক বছর এই দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল জায়গায় কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ পরিধান করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

 গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা

স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বরণের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। দেশে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সামরিক, বেসামরিক আদলে সেনা শাসন অব্যাহত ছিল।
১৯৯০ সালে ৬ই ডিসেম্বর জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসনের অবসান ঘটে; গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা শুরু হয়। 
সকল দলের অংশগ্রহণে ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক ধারা চালু হয়। 
সামরিক সরকারসমূহের দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে জনগণ দেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ধারা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হয়। 
এ অগ্রযাত্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এক বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখে। একটি প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষ জেল-জুলুম-নির্যাতন এমনকি মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে অকাতরে প্রাণ দেয়। 
জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক শাসনব্যবস্থা পরিচালনার পথ উন্মুক্ত হয়। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি দেশে পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৫ আগাস্ট জিয়াউর রহমানের শাসন আমল (১৯৭৫-১৯৮১)

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীর মেজর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার কাজ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে ৬ই নভেম্বর ভোররাতে গৃহবন্দি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত দলগত : জিয়াউর রহমানের করতে যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ল্যান্সার বাহিনীর একটি দল। জিয়াউর রহমান মুক্তি ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত কর।
ঘোষণা তিনি ২৭শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের অধীনে তিনি ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবার পরিজনসহ শাহাদাত বরণ করার পর খন্দকার মোশতাক সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। 
এরপর ২৪শে আগস্ট তিনি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদে জিয়াউর রহমানকে নিযুক্ত করেন। ৩রা নভেম্বরের সেনা অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাকের পতন ঘটে এবং জিয়াউর রহমান গৃহবন্দি হন। 
১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার পেয়ে সদ্য নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের অনুমতি ব্যতিরেকে বেতারে ভাষণ দিতে চলে যান এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দাবি করেন। পরে অবশ্য পদবি পরিবর্তন করে উপ-প্রধান আইন প্রশাসক হয়েছিলেন।
 ১৯৭৭ সালে প্রহসনমূলক গণভোটের (হ্যাঁ ভোট ও না ভোট) মধ্য দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও তার শাসন আমলে ২০টির ও বেশি সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছিল এবং সেনা বাহিনীতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। এসকল ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর জিয়াউর রহমান বিচারের নামে অনেক নিরপরাধ সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের সাজা, চাকরিচ্যুত এমনকি মৃত্যুদণ্ড দেয়।
 জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭২-এর সংবিধানের যেসব মৌলিক নীতি ও চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়ে আসছিল, তার বেশিরভাগই এ সময়ে বাতিল করে দেওয়া হয়।
 স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তিবর্গকে তিনি সমাজ ও রাজনীতিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। ৭ই নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল (অব.) আবু তাহেরকে ১৯৭৬ সালে সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচার শেষে তারই আদেশে ফাঁসি দেওয়া হয়। 
১৫ই আগস্টসহ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না মর্মে যে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রণীত হয়েছিল তার মূল হোতাও ছিলেন জিয়াউর রহমান ।

স্বদেশ আমার / জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

১৫ আগাস্ট উপলক্ষে বক্তব্য রচনা | শোক দিবসের ভাষণ ২০২২  স্বদেশ আমার বিচিত্রতার স্বপ্নভূমি চিরকালীন অগ্নিশপথ সূর্যদেশ নদীর ঢেউয়ে যুগান্তরের রূপকথা সমুদ্র আর পাহাড় ঘেরা সবুজ বেশ ।
তপোবনের সাধনগানে সূর্যপ্রণাম মাটির ছোঁয়ায় মানবব্রতে আত্মলীন মহাপ্রাণের কীর্তিগাথা ভুবনময় মহাজাতির রম্যবীণায় দেশ রঙিন।
পরম্পরা বোনে আজও নকশিকাঁথা লক্ষ বীরের অমর কথা জয়ধ্বনি সভ্যতাকে আলোয় ভাসায় শ্রমজীবী তাদের স্বপ্নে গান গেয়ে যায় সনাতনী।
বাতিঘরের চারপাশে আজ বারুদঘ্রাণ রক্ত নিয়ে খেলছে হোলি অন্ধমন মানুষ হবার মন্ত্রগুলো যায় ভেসে রূপসায়রের অবাধ মনের বিসর্জন।
স্বদেশ আমার মুক্তমনের সুরবাহার ডট কমে আজ মানবতার বিশ্বমুখ সম্প্রীতির এই ঝর্ণাতলায় জন্ম ভোর ধুলোমাখা এই মাটিতেই স্বর্গসুখ ।

শোক দিবস উপলক্ষে কিছু কবিতা ছড়া পি ডি এফ ডাউনলোড jatio shok dibos kobita boktobbo pdf image download free

১৫ আগাস্ট উপলক্ষে বক্তব্য রচনা | শোক দিবসের ভাষণ ২০২২ 

শোক দিবস উপলক্ষে কিছু কবিতা ছড়া 

শোক দিবস উপলক্ষে কিছু ইমেজ বা ছবি দেখে নিন

শোক দিবস উপলক্ষে কিছু ভিডিও দেখে নিন

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাষণের নমুনা



১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের নমুনা ভাষণ|শোক দিবসের বক্তব্য|১৫ই আগস্ট কিভাবে বক্তব্য দিব|শোক দিবস ভাষণ


অনুচ্ছেদ রচনা জাতীয় শোক দিবস|| জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ||জাতীয় শোক দিবস||জাতীয় শোক দিবস রচনা


Tags: শোক দিবসের বক্তব্য,শোক দিবসের ভাষণ,জাতীয় শোক দিবসের নমুনা ভাষণ,শোক দিবসের বক্তৃতা,শোক দিবসের নমুনা ভাষণ,জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য,১৫ আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য,১৫ আগস্ট শোক দিবসে কিভাবে বক্তব্য দিবেন,১৫ই আগস্ট শোক দিবসের ভাষণ,১৫ই আগস্ট শোক ‍দিবসের বক্তব্য,১৫ আগস্টের বক্তব্য,শোক দিবসের নমুনা বক্তৃতা,১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ভাষণ,শোক ‍দিবসের বক্তব্য,১৫ই আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য,শোকাবহ আগস্টের বক্তব্য,১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য,শোক দিবস পালন .১৫ আগাস্ট উপলক্ষে বক্তব্য রচনা | শোক দিবসের ভাষণ ২০২২ 

https://www.incometips.xyz/feeds/posts/default